মাত্র তিন দিন আগেও স্বামী শাহ নেয়াজ রিফাত শরীফের সঙ্গে আনন্দঘন সময় কাটছিল আয়েশা সিদ্দিকা মিন্নির।
কাটবেই বা না কেন! মাত্র দুই মাস আগেই বিয়ে হয়েছিল তাদের। নতুন জীবন শুরু করার উচ্ছ্বাস ছিল তাদের চোখেমুখে।
তবে হঠাৎ মো. সাব্বির আহমেদ নয়ন ওরফে নয়ন বন্ড নামক ভয়াল ঘা***ের আঘাতে মুহূর্তেই সব স্বপ্ন ভেঙে তছনছ হয়ে যায় মিন্নির। চোখের সামনে স্বামীকে কোপানোর নৃ*শং*স দৃশ্য দেখে এখনো আতঙ্কিত মিন্নি।
এ ঘটনায় স্ত্রী আয়েশা সিদ্দিকা মিন্নির কাছে গিয়েছে পুলিশ। তবে তিনি পুলিশের সঙ্গে কোনো কথা বলেননি।
রিফাতকে কু**** হ***র ঘটনায় সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বললেও এখন পর্যন্ত মামলা নিয়ে পুলিশের সঙ্গে কোনো কথা বলেননি মিন্নি। পুলিশের দায়িত্বশীল একটি সূত্র জাগো নিউজকে এ বিষয়ে নিশ্চিত করেছে।
সূত্র জানায়, শনিবার (২৯ জুন) এ হ*** মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা বরগুনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (তদন্ত) হুমায়ুন কবির মিন্নির সঙ্গে ঘটনার বিষয়ে কিছু সুনির্দিষ্ট বিষয়ে আলাপ করতে রিফাতের বাড়িতে যান (শ্বশুরবাড়ি) যান। সেখানে মিন্নি উপস্থিত থাকলেও অসুস্থ বোধ করায় তিনি পুলিশের সঙ্গে কোনো কথা বলতে রাজি হননি।
মানসিকভাবে বিপর্যস্ত মিন্নিকে কথা বলার জন্য চাপ দেয়নি পুলিশ। দ্বিতীয় দফায় রিফাতের বাড়িতে গিয়ে পুলিশ জানতে পারে তিনি (মিন্নি) নিজের বাবার বাসায় চলে গেছে।
শনিবার বিকেলে মিন্নির বাবার বাড়িতে যায় পুলিশ। প্রথমবার সেখানে গেলে অসুস্থতার কথা বলে তিনি পুলিশের সঙ্গে কথা বলেননি। তৃতীয়বার গেলেও কোনো কথা বলেননি তিনি। বাড়ির ভেতর থেকে নিজের অসুস্থতার কথা জানিয়েছেন তিনি। এরপর আর তাকে জিজ্ঞাসাবাদের চেষ্টা করেনি পুলিশ।
এদিকে শুক্রবার বিকেলে এ ঘটনায় গ্রে*** ৩ জনকে রিমান্ডে নেয় পুলিশ। শনিবার দিনভর তাদের জিজ্ঞসাবাদ করা হয়।
এ বিষয়ে পুলিশ সদর দফরের সহকারী মহাপরিদর্শক (এআইজি-মিডিয়া) মো. সোহেল রানা জাগো নিউজকে বলেন, হ***র ঘটনার তদন্ত চলছে। যারা এই হ***কাঁ***ের সঙ্গে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে জড়িত তাদের গ্রে*** করতে অভিযান চলছে। তদন্তের পরই হ***কাঁ***ের পরিকল্পনাকারী ও জড়িতদের বিষয়ে বিস্তারিত জানা যাবে।
তিনি আরও বলেন, ঘটনাটি সর্বোচ্চ গুরুত্বের সঙ্গে নিয়েছে পুলিশ। আসামিরা যেন দেশ ত্যাগ করতে না পারে, সে জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে সংশ্লিষ্ট সকল বিমানবন্দর, স্থলবন্দর ও নৌ-বন্দর সমূহকে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। আসামিদের গ্রে***ে জেলা পুলিশের পাশাপাশি পিবিআই, সিআইডি, র্যাব ও ডিএমপির কাউন্টার টেররিজম ইউনিট কাজ করছে। আশা করছি, সব আসামিকে শীঘ্রই আইনের আওতায় আনা সম্ভব হবে। অভিযুক্তদের বিষয়ে কোনো তথ্য থাকলে তা পুলিশকে জানাতে সবার প্রতি অনুরোধ রইলো।